নদী, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জনপদ
মুন্সিগঞ্জ জেলা (পুরাতন নাম: ইদ্রাকপুর বা বিক্রমপুর) বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা, যা পদ্মা-মেঘনা-ধলেশ্বরী নদীঘেরা এবং বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ হিসেবে স্বীকৃত। এই জেলা জাতীয় ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালনকারী বহু মনীষার জন্মভূমি।
প্রাথমিক তথ্য
- জেলার নাম: মুন্সিগঞ্জ
- বিভাগ: ঢাকা বিভাগ
- গঠিত: ১৯৮৪ সালে (ঢাকা জেলা থেকে পৃথক হয়ে)
- আয়তন: ৯৫৪.৯৬ বর্গকিমি
- জনসংখ্যা: প্রায় ১৭ লাখ (২০২৫ আনুমানিক)
- ভাষা: বাংলা (বিক্রমপুরি উপভাষা প্রচলিত)
- ধর্ম: ইসলাম (প্রধান), হিন্দু, খ্রিস্টান
- বিশেষ পরিচিতি: বিক্রমপুর – বিদ্বানদের জনপদ, পদ্মা নদী, ইদ্রাকপুর কেল্লা
ভৌগোলিক সীমা
- উত্তরে: নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা
- দক্ষিণে: শরীয়তপুর
- পূর্বে: কুমিল্লা
- পশ্চিমে: মাদারীপুর ও পদ্মা নদী
প্রধান নদী: পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী, ইছামতি
প্রশাসনিক কাঠামো
- উপজেলা: ৬টি
- পৌরসভা: ৬টি
- ইউনিয়ন: ৬৭টি
- থানা: ৬টি
- সিটি কর্পোরেশন: নেই
উপজেলাসমূহ:
- মুন্সিগঞ্জ সদর
- টঙ্গীবাড়ি
- সিরাজদিখান
- লৌহজং
- গজারিয়া
- শ্রীনগর
পৌরসভাসমূহ:
- মুন্সিগঞ্জ
- টঙ্গীবাড়ি
- সিরাজদিখান
- লৌহজং
- গজারিয়া
- শ্রীনগর
জেলা প্রশাসন (২০২৫)
পদবী | নাম | মোবাইল | ইমেইল |
---|---|---|---|
জেলা প্রশাসক (DC) | কাজী নাহিদ রাসেল | 01712-XXXXXX | dc.munshiganj@mopa.gov.bd |
পুলিশ সুপার (SP) | মোহাম্মদ আসলাম হোসেন | 01320-107XXX | sp.munshiganj@police.gov.bd |
সিভিল সার্জন | ডা. মো. মাহবুবুর রহমান | 01715-XXXXXX | cs.munshiganj@dghs.gov.bd |
জেলা শিক্ষা অফিসার | [তথ্য আপডেট হচ্ছে] | [ইমেইল] | [মোবাইল] |
অর্থনীতি ও জীবিকা
- প্রধান খাত: ধান, পাট, কলা, পান
- মাছ ধরা ও নদীঘাট ব্যবসা
- নদী পরিবহন ও স্টিমার সার্ভিস
- তাঁত ও কুটিরশিল্প
- প্রবাসী আয় ও নদীবন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসা
পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান
- ইদ্রাকপুর কেল্লা
- জগতরঞ্জন রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি
- পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক (মাওয়া পয়েন্ট)
- বিক্রমপুর জাদুঘর
- লৌহজং নদীপাড় ও চরাঞ্চল
- সিরাজদিখান-টঙ্গীবাড়ির ঐতিহাসিক ঘাট
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
- মুন্সিগঞ্জ সরকারি কলেজ
- সিরাজদিখান কলেজ, শ্রীনগর কলেজ
- মুন্সিগঞ্জ সরকারি পলিটেকনিক
- মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি ক্লিনিক
উপসংহার
মুন্সিগঞ্জ জেলা ইতিহাস, নদী ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব সম্মিলন। বিক্রমপুরের বিদ্যাচর্চা, ইদ্রাকপুরের কেল্লা, পদ্মার জলরাশি এবং মাওয়া ঘাটের আধুনিকায়ন—সব মিলিয়ে এটি একটি ঐতিহাসিক ও আধুনিক জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে।