সীমান্তবর্তী শিল্প, কৃষি ও ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ জনপদ
জয়পুরহাট জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এটি প্রাচীন জনপদ, হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থান, প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ এবং শিল্প-কারখানা ও কৃষিনির্ভর সমাজব্যবস্থার জন্য পরিচিত। জেলার উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে মিলিত।
প্রাথমিক তথ্য
- জেলার নাম: জয়পুরহাট
- বিভাগ: রাজশাহী বিভাগ
- গঠিত: ১৯৮৪ সালে (বগুড়া থেকে পৃথক হয়ে)
- আয়তন: ৯৬৫.৪৪ বর্গকিমি
- জনসংখ্যা: প্রায় ১১ লাখ (২০২৫ আনুমানিক)
- ভাষা: বাংলা (জয়পুরহাটি উপভাষা প্রচলিত)
- ধর্ম: ইসলাম (প্রধান), হিন্দু, খ্রিস্টান
- বিশেষ পরিচিতি: সীমান্তবর্তী জেলা, খনিজসম্পদ, শিল্প, চিনিকল
ভৌগোলিক সীমা
- উত্তরে: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ
- দক্ষিণে: নওগাঁ
- পূর্বে: বগুড়া
- পশ্চিমে: নওগাঁ ও পশ্চিমবঙ্গ
প্রধান নদী: তুলাই, ছোট যমুনা
প্রশাসনিক কাঠামো
- উপজেলা: ৫টি
- পৌরসভা: ৫টি
- ইউনিয়ন: ৩২টি
- থানা: ৫টি
- সিটি কর্পোরেশন: নেই
উপজেলাসমূহ:
- জয়পুরহাট সদর
- আক্কেলপুর
- কালাই
- ক্ষেতলাল
- পাঁচবিবি
পৌরসভাসমূহ:
- জয়পুরহাট
- আক্কেলপুর
- কালাই
- ক্ষেতলাল
- পাঁচবিবি
জেলা প্রশাসন (২০২৫)
পদবী | নাম | মোবাইল | ইমেইল |
---|---|---|---|
জেলা প্রশাসক (DC) | মো. লিয়াকত আলী সিকদার | 01712-XXXXXX | dc.joypurhat@mopa.gov.bd |
পুলিশ সুপার (SP) | নুর-এ-আলম সিদ্দিকী | 01320-107XXX | sp.joypurhat@police.gov.bd |
সিভিল সার্জন | ডা. মো. সালাউদ্দিন | 01715-XXXXXX | cs.joypurhat@dghs.gov.bd |
জেলা শিক্ষা অফিসার | [তথ্য আপডেট হচ্ছে] | [ইমেইল] | [মোবাইল] |
অর্থনীতি ও জীবিকা
- ধান, গম, ভুট্টা, সবজি উৎপাদনে উন্নত
- খনিজ (চুনাপাথর), চিনিকল ও সিমেন্ট কারখানা
- পশুপালন ও হাঁস-মুরগি খামার
- সীমান্ত বাণিজ্য
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান
- পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার (আংশিক এলাকা)
- তুলাইলি পাহাড় ও খনিজ সম্পদের অঞ্চল
- চিনিকল সংলগ্ন লেক ও পার্ক
- আক্কেলপুর-সোনামুখি সীমান্ত এলাকা
- পাঁচবিবি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
- জয়পুরহাট সরকারি কলেজ
- আক্কেলপুর কলেজ
- টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
- সদর হাসপাতাল
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আধুনিক ক্লিনিক
উপসংহার
জয়পুরহাট জেলা আয়তনে ছোট হলেও অর্থনীতি, কৃষি, খনিজসম্পদ ও সীমান্তবাণিজ্যের কারণে এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি জেলা। এখানকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সম্প্রীতি ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতি একে এগিয়ে নিচ্ছে।