পদ্মার তীরে বসবাস, ঐতিহ্যে গর্বিত জনপদ
রাজবাড়ী জেলা বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি ঐতিহ্যবাহী নদীবিধৌত জেলা। এটি পদ্মা, গড়াই ও জমুনা নদীর প্রবাহে গঠিত একটি সমৃদ্ধ কৃষিভিত্তিক এলাকা। জেলার নাম এসেছে রাজা সুর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর জমিদারির রাজবাড়ির নাম অনুসারে।
প্রাথমিক তথ্য
- জেলার নাম: রাজবাড়ী
- বিভাগ: ঢাকা বিভাগ
- গঠিত: ১৯৮৪ সালে (ফরিদপুর থেকে পৃথক হয়ে)
- আয়তন: ১,১৮২.৩৬ বর্গকিমি
- জনসংখ্যা: প্রায় ১২ লাখ (২০২৫ আনুমানিক)
- ভাষা: বাংলা (স্থানীয় উপভাষা প্রচলিত)
- ধর্ম: ইসলাম (প্রধান), হিন্দু, খ্রিস্টান
- বিশেষ পরিচিতি: রাজা সুর্যকান্তের রাজবাড়ি, পদ্মা তীরবর্তী জেলা
ভৌগোলিক সীমা
- উত্তরে: পাবনা ও মানিকগঞ্জ
- দক্ষিণে: ফরিদপুর
- পূর্বে: মাদারীপুর
- পশ্চিমে: কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ
প্রধান নদী: পদ্মা, গড়াই, চন্দনা, হরসাগর
প্রশাসনিক কাঠামো
- উপজেলা: ৫টি
- পৌরসভা: ৫টি
- ইউনিয়ন: ৪২টি
- থানা: ৫টি
- সিটি কর্পোরেশন: নেই
উপজেলাসমূহ:
- রাজবাড়ী সদর
- গোয়ালন্দ
- পাংশা
- বালিয়াকান্দি
- কালুখালী
পৌরসভাসমূহ:
- রাজবাড়ী
- গোয়ালন্দ
- পাংশা
- বালিয়াকান্দি
- কালুখালী (প্রস্তাবিত/উন্নীত)
জেলা প্রশাসন (২০২৫)
পদবী | নাম | মোবাইল | ইমেইল |
---|---|---|---|
জেলা প্রশাসক (DC) | সুলতানা পারভীন | 01712-XXXXXX | dc.rajbari@mopa.gov.bd |
পুলিশ সুপার (SP) | এম এম শাকিলুজ্জামান | 01320-107XXX | sp.rajbari@police.gov.bd |
সিভিল সার্জন | ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম | 01715-XXXXXX | cs.rajbari@dghs.gov.bd |
জেলা শিক্ষা অফিসার | [তথ্য আপডেট হচ্ছে] | [ইমেইল] | [মোবাইল] |
অর্থনীতি ও জীবিকা
- ধান, পাট, গম, শাকসবজি
- নদীকেন্দ্রিক মৎস্য ও নৌপরিবহন
- দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন
- পোশাক ও কুটিরশিল্প
- প্রবাসী আয় ও ক্ষুদ্র ব্যবসা
পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান
- রাজবাড়ি জমিদার বাড়ি
- গড়াই নদীর ঘাট ও চরাঞ্চল
- গোয়ালন্দ ঘাট – ঐতিহাসিক রেল ও নদী সংযোগ কেন্দ্র
- বালিয়াকান্দির পদ্মাপাড়
- নবাব শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
- রাজবাড়ী সরকারি কলেজ
- গোয়ালন্দ কলেজ
- পাংশা কলেজ
- রাজবাড়ী মেডিকেল কলেজ (উন্নয়নাধীন)
- সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
উপসংহার
রাজবাড়ী জেলা নদী, কৃষি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক মহামিলন। পদ্মা নদীর তীরবর্তী এই জেলা তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, লোকজ জীবন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। প্রাচীন জমিদার বাড়ি ও আধুনিক নদীবন্দর এই জেলার প্রাচীনতা ও আধুনিকতার মিলন ঘটায়।