নাটোর জেলা

রাজবাড়ি, দই ও কৃষিনির্ভর শান্তিপূর্ণ জনপদ

নাটোর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। এটি নাটোর রাজবাড়ির জন্য বিখ্যাত এবং এখানকার দই ও মিষ্টি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা। কৃষি, নদী, ইতিহাস ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এই জেলা এক অনন্য পরিচয়ে পরিচিত।


প্রাথমিক তথ্য

  • জেলার নাম: নাটোর
  • বিভাগ: রাজশাহী বিভাগ
  • গঠিত: ১৯৮৪ সালে (রাজশাহী জেলা থেকে পৃথক হয়ে)
  • আয়তন: ১,৯১০.১৭ বর্গকিমি
  • জনসংখ্যা: প্রায় ২০ লাখ (২০২৫ আনুমানিক)
  • ভাষা: বাংলা (নাটোরি উপভাষা প্রচলিত)
  • ধর্ম: ইসলাম (প্রধান), হিন্দু, খ্রিস্টান
  • বিশেষ পরিচিতি: নাটোর রাজবাড়ি, দই, উত্তরা গণভবন, রাণী ভবানীর ঐতিহ্য

ভৌগোলিক সীমা

  • উত্তরে: নওগাঁ
  • দক্ষিণে: পাবনা
  • পূর্বে: সিরাজগঞ্জ
  • পশ্চিমে: রাজশাহী

প্রধান নদী: বারনই, আত্রাই


প্রশাসনিক কাঠামো

  • উপজেলা: ৭টি
  • পৌরসভা: ৭টি
  • ইউনিয়ন: ৫২টি
  • থানা: ৭টি
  • সিটি কর্পোরেশন: নেই

উপজেলাসমূহ:

  1. নাটোর সদর
  2. বড়াইগ্রাম
  3. গুরুদাসপুর
  4. সিংড়া
  5. বাগাতিপাড়া
  6. লালপুর
  7. নলডাঙ্গা

পৌরসভাসমূহ:

  1. নাটোর
  2. বড়াইগ্রাম
  3. সিংড়া
  4. গুরুদাসপুর
  5. বাগাতিপাড়া
  6. লালপুর
  7. নলডাঙ্গা

জেলা প্রশাসন (২০২৫)

পদবীনামমোবাইলইমেইল
জেলা প্রশাসক (DC)আবু নাসের ভূঁইয়া01712-XXXXXXdc.natore@mopa.gov.bd
পুলিশ সুপার (SP)মো. সাইফুল ইসলাম01320-107XXXsp.natore@police.gov.bd
সিভিল সার্জনডা. মো. নুরুল ইসলাম01715-XXXXXXcs.natore@dghs.gov.bd
জেলা শিক্ষা অফিসার[তথ্য আপডেট হচ্ছে][ইমেইল][মোবাইল]

অর্থনীতি ও জীবিকা

  • ধান, আখ, পাট, কলা, সরিষা ও ডাল
  • নাটোর দই, মিষ্টান্ন শিল্প
  • চিনি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা (নলডাঙ্গা, লালপুর)
  • তাঁত ও কুটির শিল্প
  • প্রবাসী আয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান

  • নাটোর রাজবাড়ি ও উত্তরা গণভবন
  • রানী ভবানীর রাজপ্রাসাদ
  • চলন বিল (সিংড়া অঞ্চল)
  • বনপাড়া চার্চ ও ধর্মীয় সম্প্রীতির নিদর্শন
  • নলডাঙ্গার দই বাজার ও কাচারি ঘর

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

  • নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ
  • গুরুদাসপুর ডিগ্রি কলেজ
  • নাটোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • নাটোর সদর হাসপাতাল
  • উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আধুনিক ক্লিনিক

উপসংহার

নাটোর জেলা ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষি ও শান্ত পরিবেশের এক অপূর্ব মিশ্রণ। রানী ভবানীর রাজত্বকাল থেকে শুরু করে আজকের আধুনিক উপজেলা ভিত্তিক প্রশাসনে এই জেলা বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক গৌরবোজ্জ্বল অংশ।