কেরানীগঞ্জ উপজেলা

ঢাকার নিকটবর্তী শিল্প ও আবাসন সমৃদ্ধ প্রাণবন্ত অঞ্চল

কেরানীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল উপজেলা। এটি রাজধানী ঢাকা শহরের খুবই কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় দ্রুত শিল্পায়ন, আবাসন প্রকল্প, বাণিজ্য ও জনসংখ্যার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কেরানীগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নদীবেষ্টিত এই অঞ্চল ঐতিহ্যবাহী এবং আধুনিক উন্নয়নের এক চমৎকার সমন্বয়।

---

গঠনের ইতিহাস ও পটভূমি

• ঐতিহাসিকভাবে কেরানীগঞ্জ অঞ্চল মুঘল আমল থেকে ব্যবসা ও নৌপরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।

• ব্রিটিশ শাসনামলে এটি একটি বিশিষ্ট প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে পরিচিতি পায়।

• ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কেরানীগঞ্জ ছিল ঢাকার মুক্তাঞ্চলের অন্যতম কেন্দ্র।

• কেরানীগঞ্জ থানা থেকে উন্নীত হয়ে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা হিসেবে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

---

প্রশাসনিক তথ্য

---

ধর্মীয় পরিসংখ্যান (আনুমানিক)

---

প্রশাসনিক বিভাগসমূহ

কেরানীগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা:

• আগানগর ইউনিয়ন

• জিনজিরা ইউনিয়ন

• কলাতিয়া ইউনিয়ন

• তেঘরিয়া ইউনিয়ন

• শুভাঢ্যা ইউনিয়ন

• কোণ্ডা ইউনিয়ন

• কালিন্দী ইউনিয়ন

• বাগানবাড়ী ইউনিয়ন

• সিরাজদিখান ইউনিয়ন (আংশিক অন্তর্ভুক্ত, সাধারণত আলাদা)

• রোহিতপুর ইউনিয়ন

• তারানগর ইউনিয়ন

• তুরাগপুর ইউনিয়ন

(তথ্য আপডেট করার সময় স্থানীয় সরকার অফিসের সাম্প্রতিক তথ্য রেফারেন্স করা উত্তম।)

---

স্থানীয় সরকার কাঠামো

• উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO) ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশাসনিক নেতৃত্ব দেন।

• ইউনিয়ন পরিষদ: চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ নির্বাচিত প্রতিনিধি।

• কেরানীগঞ্জ পৌরসভা: মেয়র ও কাউন্সিলরগণ পৌরশাসন পরিচালনা করেন।

---

নেতৃত্ব ও শাসনব্যবস্থা

• উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO): সরকারি প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত।

• উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান: নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।

• পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেন।

---

আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা

• কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সহ একাধিক থানা কার্যক্রম পরিচালিত।

• র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর তৎপরতা।

• ফায়ার সার্ভিস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিট উপস্থিত।

---

অর্থনীতি ও শিল্প

• কেরানীগঞ্জে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম পোশাক পণ্যের পাইকারি বাজার (গার্মেন্টস মার্কেট)।

• প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার তৈরি পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র।

• আবাসন শিল্প: নতুন হাউজিং প্রকল্প দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।

• রেমিট্যান্স এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

---

শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠান

• উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কেরানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, সরকারি কলেজ ও কারিগরি ইনস্টিটিউট।

• মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়: উল্লেখযোগ্য সংখ্যক।

• মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিস্তৃত।

---

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

• কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

• স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

• স্বাস্থ্যসেবায় টেলিমেডিসিন সেবা সম্প্রসারিত হচ্ছে।

---

যোগাযোগ ও অবকাঠামো

• সড়ক: ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক, বুড়িগঙ্গা সেতু সংযোগ।

• নদীপথ: বুড়িগঙ্গা নদী এবং পদ্মা নদীর মাধ্যমে যোগাযোগ।

• অভ্যন্তরীণ পরিবহন: বাস, অটোরিকশা, সিএনজি।

---

পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান

• ঐতিহাসিক: বুড়িগঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকা।

• প্রাকৃতিক: নদীপাড়ের সৌন্দর্য, গ্রামীণ দৃশ্যপট।

• আধুনিক: বিভিন্ন শপিং মল ও রিসোর্ট।

---

সংস্কৃতি ও জীবনধারা

• খাদ্য: ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই খাবার প্রচলিত।

• লোকসংস্কৃতি: গ্রামীণ মেলা, পালাগান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

• পোশাক: ঢাকাই গার্মেন্টস ও দেশীয় জামদানি ও সিল্কের ব্যবহার।

---

সারাংশ

কেরানীগঞ্জ উপজেলা ঢাকা মহানগরীর অদূরবর্তী একটি দ্রুত উন্নয়নশীল অঞ্চল। শিল্প, বাণিজ্য, বাসস্থান এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মিশ্রণে কেরানীগঞ্জ আজ বাংলাদেশের এক আধুনিক উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর ভৌগোলিক সুবিধা এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ভবিষ্যতে কেরানীগঞ্জকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।

---

নিউজ ও আর্টিকেল

নিচের শিরোনামগুলোতে ক্লিক করে এই অংশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধসমূহ পড়ুন:

• ড. মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এক নতুন ইতিহাসের সূচনা

---

আমাদের লক্ষ্য (ওয়েবসাইট ভিশন)

এই ওয়েবসাইটে আমরা তুলে ধরছি বাংলাদেশের প্রতিটি:

• বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সংক্রান্ত তথ্য

• ইতিহাস, জনসংখ্যা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, কৃষি, পরিবেশ

• পর্যটন স্থান, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, স্থানীয় উৎসব ও খাদ্যসংস্কৃতি

• তথ্যনির্ভর, নির্ভরযোগ্য ও আপডেটেড একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় তথ্যভাণ্ডার

---

যোগাযোগ করুন

আপনার এলাকার তথ্য আপডেট বা সংশোধনের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আপনার অংশগ্রহণই আমাদের এই তথ্যভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলবে।

---

ধন্যবাদ!
আপনি এখন বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্ত জানার যাত্রায় আছেন – আমাদের সাথেই থাকুন!