উপকূলীয় কৃষি, মৎস্য ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা
পেকুয়া কক্সবাজার জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকূলবর্তী উপজেলা, যা চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার সংযোগস্থলে অবস্থিত। কৃষি, লবণচাষ, মাছ উৎপাদন এবং ক্রমবর্ধমান শিক্ষার হার—সব মিলে এটি একটি সম্ভাবনাময় জনপদে পরিণত হয়েছে।
গঠনের ইতিহাস ও পটভূমি
-
পূর্বে চকরিয়া উপজেলার অংশ ছিল।
-
২০০০ সালে পেকুয়া আলাদা উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এলাকাটি ঐতিহ্যগতভাবে নদীনির্ভর কৃষি ও লবণচাষের জন্য পরিচিত ছিল।
প্রশাসনিক তথ্য
বৈশিষ্ট্য | বিবরণ |
---|---|
উপজেলার নাম | পেকুয়া উপজেলা |
গঠনের বছর | ২০০০ সাল |
উপজেলা সদর | টৈটং |
ইউনিয়ন পরিষদ | ৭টি ইউনিয়ন |
পৌরসভা | নেই |
মোট আয়তন | আনুমানিক ১১৮.০১ বর্গকিলোমিটার |
মোট জনসংখ্যা (২০২৫) | আনুমানিক ১.৯ লক্ষাধিক |
ধর্মীয় পরিসংখ্যান (আনুমানিক)
ধর্ম | জনসংখ্যার অনুপাত |
---|---|
ইসলাম | প্রায় ৯৭% |
হিন্দুধর্ম | প্রায় ২% |
অন্যান্য | প্রায় ১% |
প্রশাসনিক বিভাগসমূহ
পেকুয়া উপজেলা গঠিত ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে।
ইউনিয়নসমূহ:
-
বারবাকিয়া ইউনিয়ন
-
রাজাখালী ইউনিয়ন
-
উজানটিয়া ইউনিয়ন
-
টৈটং ইউনিয়ন
-
টাইটং ইউনিয়ন
-
শিলখালী ইউনিয়ন
-
মগনামা ইউনিয়ন
থানা:
-
পেকুয়া থানা
স্থানীয় সরকার কাঠামো
-
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO) সার্বিক প্রশাসনিক দায়িত্বে
-
প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান
-
ইউনিয়নভিত্তিক সচিব, গ্রাম পুলিশ ও প্রশাসনিক সেবাকেন্দ্র
আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা
-
পেকুয়া থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা
-
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট ও সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) সক্রিয়
-
কোস্টগার্ড ও বনরক্ষা বাহিনী কিছু এলাকায় মোতায়েন
অর্থনীতি ও শিল্প
-
প্রধানত কৃষিভিত্তিক: ধান, পান, শাকসবজি
-
লবণচাষ ও মাছ চাষ (চিংড়ি, তেলাপিয়া)
-
নারকেল, সুপারি, কাঁঠাল ও হস্তশিল্প
-
কিছু এলাকায় বনায়ন এবং বাঁশ-ঝাড় কাঠপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ
শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠান
-
পেকুয়া ডিগ্রি কলেজ
-
মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও টেকনিক্যাল স্কুল
-
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য
-
শিক্ষার হার (২০২৪): আনুমানিক ৭৫%
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
-
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
-
ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র
-
বেসরকারি ক্লিনিক, ফার্মেসি ও মাতৃসদন সেবা কেন্দ্র
যোগাযোগ ও অবকাঠামো
-
চকরিয়া-পেকুয়া-ধলঘাটা সড়ক সংযোগ
-
অটো রিকশা, সিএনজি ও নৌযান
-
নদীভাঙন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সড়ক উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প চলছে
-
ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ চলমান
পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান
-
মগনামা উপকূলীয় অঞ্চল – পাখি দেখা, ম্যানগ্রোভ বন
-
শিলখালী খাল ও নদীর মোহনা
-
প্রাকৃতিক জলাশয়, ধানক্ষেত ও বন্যপ্রাণী বিচরণ এলাকা
-
ছোট ছোট পাহাড়ি ঢাল ও বনাঞ্চল
সংস্কৃতি ও জীবনধারা
-
কৃষি ও মৎস্য নির্ভর গ্রামীণ জীবন
-
পান্তা-ভর্তা, শুঁটকি ও কাঁচা মরিচে রান্নার ঐতিহ্য
-
মেলা, নৌকা বাইচ ও বৈশাখী উৎসব প্রচলিত
-
নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ বাড়ছে খামার ও শুটকি শিল্পে
সারাংশ
পেকুয়া উপজেলা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের একটি উদীয়মান জনপদ। কৃষি, মাছচাষ, লবণ উৎপাদন ও প্রাকৃতিক সম্পদের বৈচিত্র্য এখানে একটি টেকসই অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে তুলছে। দুর্যোগ প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও এখানকার জনগণ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে আত্মবিশ্বাসের সাথে।
নিউজ ও আর্টিকেল
নিচের শিরোনামগুলোতে ক্লিক করে এই অংশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধসমূহ পড়ুন:
আমাদের লক্ষ্য (ওয়েবসাইট ভিশন)
এই ওয়েবসাইটে আমরা তুলে ধরছি বাংলাদেশের প্রতিটি:
-
বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সংক্রান্ত তথ্য
-
ইতিহাস, জনসংখ্যা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, কৃষি, পরিবেশ
-
পর্যটন স্থান, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, স্থানীয় উৎসব ও খাদ্যসংস্কৃতি
-
তথ্যনির্ভর, নির্ভরযোগ্য ও আপডেটেড একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় তথ্যভাণ্ডার
যোগাযোগ করুন
আপনার এলাকার তথ্য আপডেট বা সংশোধনের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আপনার অংশগ্রহণই আমাদের এই তথ্যভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলবে।
ধন্যবাদ!
আপনি এখন বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্ত জানার যাত্রায় আছেন – আমাদের সাথেই থাকুন!