২০২৫ সালে প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার উন্নতি

March 7, 2025 By Shabab Al Sharif

প্রযুক্তি খাত বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া প্রযুক্তির নতুন নতুন দিক উন্মোচন করতে যাচ্ছে, যা উভয় দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এ লেখায় আমরা এই দুই দেশের প্রযুক্তি খাতের বর্তমান অবস্থা, নতুন উদ্ভাবন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করব।


বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি

বাংলাদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ নীতির আওতায় প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। ২০২৫ সালে দেশের প্রযুক্তি খাত আরও উন্নত হবে, বিশেষ করে আইটি, ফিনটেক, রোবোটিক্স ও এআই-এর মতো ক্ষেত্রে।

প্রধান উন্নয়নসমূহ:

আইসিটি সেক্টরের প্রবৃদ্ধি – বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং বাজার, ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাত আরও ৫০% বৃদ্ধি পাবে।
স্টার্টআপ ও ইনোভেশনবিনিয়োগ বাড়ছে এবং সরকার নতুন স্টার্টআপদের জন্য নগদ প্রণোদনা ও ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধা দিচ্ছে।
ফাইভজি নেটওয়ার্ক – ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো দেশজুড়ে ৫জি ইন্টারনেট বিস্তৃত হবে, যা ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিপ্লব আনবে।
ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্টবিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আরও আধুনিক হবে।
এআই ও অটোমেশন – শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পখাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।


মালয়েশিয়ার প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি

মালয়েশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রযুক্তিনির্ভর দেশ। দেশটি স্মার্ট সিটি, ব্লকচেইন, এআই, রোবোটিক্স ও ফিনটেক-এর মতো ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে।

প্রধান উন্নয়নসমূহ:

স্মার্ট সিটি ও আইওটি (IoT) – মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শহর স্মার্ট সিটির আওতায় আনা হচ্ছে, যেখানে সেন্সর, স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিস্টেম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবহৃত হবে।
ফাইভজি ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট – পুরো দেশে ফাইভজি ও অপটিক ফাইবার ইন্টারনেট সম্প্রসারিত হচ্ছে, যা ই-কমার্স, গেমিং ও অনলাইন স্ট্রিমিংয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি – মালয়েশিয়ার সরকার ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করছে, যা ব্যাংকিং ও ব্যবসায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে।
রোবোটিক্স ও ম্যানুফ্যাকচারিং – ইলেকট্রনিক্স ও অটোমোবাইল খাতে রোবটিক্স ও অটোমেশন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) – শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সরকারি সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে।


বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার প্রযুক্তি খাতের তুলনা

বিষয়বাংলাদেশমালয়েশিয়া
ফাইভজি ইন্টারনেট২০২৫ সালে বিস্তারের পরিকল্পনাইতোমধ্যেই চালু হয়েছে
আইসিটি ও ফ্রিল্যান্সিংফ্রিল্যান্সিং বাজারে বিশ্বের ২য় স্থানআঞ্চলিকভাবে শক্তিশালী আইটি সেক্টর
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমসরকারি ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছেবিশ্বমানের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি
রোবোটিক্স ও এআইসীমিত পর্যায়ে উন্নয়ন হচ্ছেস্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে
ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সিএখনও প্রাথমিক পর্যায়েসরকারিভাবে ব্লকচেইন বাস্তবায়ন

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি সম্ভাবনা

🔹 বাংলাদেশ – ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি এক্সপোর্ট ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে, যা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
🔹 মালয়েশিয়া – দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রযুক্তি হাবে পরিণত হবে, যেখানে বিশ্বমানের কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বাড়বে।
🔹 উভয় দেশেই এআই, ফাইভজি ও ব্লকচেইনের বিস্তার বাড়বে, যা ব্যবসা ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।