স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র
March 13, 2025সংজ্ঞা ও অর্থ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বলতে এমন একটি রাষ্ট্রকে বোঝানো হয় যা সম্পূর্ণরূপে স্বশাসিত এবং নিজের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নীতিগুলো নির্ধারণ করতে সক্ষম। এটি অন্য কোনো রাষ্ট্র বা ক্ষমতার অধীনে নয় এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বীকৃত। সার্বভৌমত্বের অর্থ হলো একটি দেশের নিজস্ব সংবিধান, শাসনব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা ও নীতিমালা পরিচালনার পূর্ণ অধিকার থাকা।
স্বাধীনতার বৈশিষ্ট্য
১. নিজস্ব শাসনব্যবস্থা – স্বাধীন রাষ্ট্রের নিজস্ব সরকার থাকে, যা দেশের প্রশাসন পরিচালনা করে। ২. আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি – একটি দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হয়। ৩. সীমান্ত ও ভূখণ্ড – প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ও স্থায়ী জনসংখ্যা থাকে। ৪. নিজস্ব আইন ও সংবিধান – একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নিজস্ব আইন ও সংবিধান থাকে, যা দেশ পরিচালনার মূল ভিত্তি। ৫. কূটনৈতিক সম্পর্ক – স্বাধীন রাষ্ট্র অন্যান্য দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে পারে।
সার্বভৌমত্বের গুরুত্ব
১. রাষ্ট্র পরিচালনার স্বাধীনতা – সার্বভৌম রাষ্ট্র তার নিজস্ব নীতি নির্ধারণ করতে পারে। 2. অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ – রাষ্ট্র তার নিজস্ব অর্থনৈতিক নীতি ও সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। 3. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা – সার্বভৌম রাষ্ট্র অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
বাংলাদেশ: একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে এবং এটি একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এটির নিজস্ব সংবিধান, সরকার, আইন ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য এবং বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে।
উপসংহার
একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র তার নিজস্ব শাসনব্যবস্থা, আইন, অর্থনীতি ও কূটনীতি পরিচালনার ক্ষমতা রাখে। সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।