উপকূলীয় ঐতিহ্য, কৃষি ও সাহসিকতার ভূমি
নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত একটি উপকূলীয় ও নদীবিধৌত জেলা। এটি কৃষি, শিক্ষা, নদীভাঙন প্রতিরোধ আন্দোলন এবং অসংখ্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক গৌরবের জন্য পরিচিত।
প্রাথমিক তথ্য
- জেলার নাম: নোয়াখালী
- গঠিত: ১৮২১ সালে (জেলা হিসেবে)
- আয়তন: ৩,৬০০.৯৯ বর্গকিমি
- জনসংখ্যা: প্রায় ৩৩ লাখ (২০২৫ আনুমানিক)
- ভাষা: বাংলা (স্থানীয় নোয়াখালিয়া উপভাষা)
- ধর্ম: ইসলাম (প্রধান), হিন্দু, খ্রিস্টান
- প্রতিষ্ঠাতা কালেক্টর: রবার্ট হাচিনসন
ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমা
- উত্তরে: লক্ষ্মীপুর জেলা
- দক্ষিণে: বঙ্গোপসাগর
- পূর্বে: ফেনী জেলা ও চট্টগ্রাম
- পশ্চিমে: ভোলা ও বরিশাল জেলার উপকূল
এখানে প্রধান নদী: মেঘনা, বাঙ্গালচর, দাউদপুর খাল, ছোট ফেনী নদী
প্রশাসনিক কাঠামো
- উপজেলা: ৯টি
- পৌরসভা: ৬টি
- ইউনিয়ন: ৮২টি
- থানা: ৯টি
- সিটি কর্পোরেশন: নেই
উপজেলাসমূহ:
- নোয়াখালী সদর
- বেগমগঞ্জ
- চাটখিল
- সেনবাগ
- সোনাইমুড়ী
- কোম্পানীগঞ্জ
- কবিরহাট
- সুবর্ণচর
- হাতিয়া
পৌরসভাসমূহ:
- নোয়াখালী (মাইজদী)
- বেগমগঞ্জ (চৌমুহনী)
- চাটখিল
- সেনবাগ
- কোম্পানীগঞ্জ
- হাতিয়া
(তথ্যসূত্র: LGED, noakhali.gov.bd)
জেলা প্রশাসন (২০২৫)
পদবী | নাম | মোবাইল | ইমেইল |
---|---|---|---|
জেলা প্রশাসক (DC) | দেওয়ান মাহবুবুর রহমান | 01711-xxxxxx | dc.noakhali@mopa.gov.bd |
পুলিশ সুপার (SP) | মো. শহিদুল ইসলাম | 01320-107XXX | sp.noakhali@police.gov.bd |
সিভিল সার্জন | ডা. মো. মাসুম ইকবাল | 01715-xxxxxx | cs.noakhali@dghs.gov.bd |
জেলা শিক্ষা অফিসার | [তথ্য যাচাই হচ্ছে] | [ইমেইল] | [মোবাইল] |
অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা
- প্রধান খাত: কৃষি (ধান, সুপারি, শাকসবজি, মাছ)
- নদী ও সাগরনির্ভর জীবিকা
- প্রবাসী আয় ও গার্মেন্টস খাত
- উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ও চিংড়ি চাষ
- কুটিরশিল্প ও বাঁশ-বেত নির্মাণ
পর্যটন ও ঐতিহাসিক স্থান
- মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং ও জেলা পার্ক
- হাতিয়া দ্বীপ ও Nijhum Dwip (নিঝুম দ্বীপ)
- সুবর্ণচর সমুদ্রতট
- আলেকজান্ডার বন্দর এলাকা
- চৌমুহনী বাজার – অর্থনৈতিক কেন্দ্র
- ঐতিহাসিক বেলজিয়াম হাউজ, কোম্পানীগঞ্জ
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)
- সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, কারিগরি কলেজ
- নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিক
উপসংহার
নোয়াখালী জেলা শুধু উপকূল নয়, বরং সাহসিকতা, সংস্কৃতি, কৃষি, শিক্ষা ও সমুদ্রনির্ভর জীবিকার অনন্য মিলনস্থল। এই জেলার প্রতিটি উপজেলা ও দ্বীপে রয়েছে আবিষ্কারের নতুন দিগন্ত।